প্রাণের গুপ্ত সাথী
আসো আসো বিভাবরী লহ মোরে কোলে তুলি
ক্ষণিক বিরাম নিতে চাই।
যত ছিল জঞ্জাল তাহারে করেছি নাশ
ছিল যত দায় আজ তাই।
যারা ছিল এতদিন নিজের আপন সাথী
স্বার্থ লোভে গেল দূরে চলি।
আমার অন্তরে সে নাহি ছিল লেশমাত্র দ্বেষ
বৃথা সে তাদের কথা বলি।
মনে শুধু ব্যথা রয় প্রিয় বড় ছিল তারা
যাদের করেছি (যত্ন) এতকাল।
ভুলে তারা গেছে বুঝি হাসি ভরা দিনগুলি
মনে মোর রবে চিরকাল।
প্রাণের বাঁধন খুলি দেরি নাহি ছিল আর
নতুন স্বপ্ন সন্ধানি।
প্রয়াস করিলে তারে বাধা কি সে দিতে পারি
ছুটে মন যদি অকারণে।
বৃথা শুধু ধরে রাখা আশা দিয়ে ঘিরে রাখা
সাধের কল্পনা যতনে।
নিশির আঁচল পাতি প্রানের গুপ্ত সাথী
ভুলি, তারে নিয়ে মনে মনে।
Praner Gupto Saathi(প্রাণের গুপ্ত সাথী)
সদা জাগ্রত চঞ্চল মন মানুষের নিজের জন্য একটা ঠাঁই খুজে বেড়ায়। সে দুরন্ত প্রয়াস আমরণ চলতে থাকেমানুষের মাঝে। কখনো অবচেতন মন স্বপ্নের মাঝে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটায় আর কখনো বাস্তবে রূপ নেয়, স্বপ্ন সত্যি হয়। কিন্তু এই খোঁজার প্রয়াস মানুষের মনের মাঝে নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যায় কখনো ও স্থির হতে চায়না।
মানুষ জীবনের অন্ত অবদি হয়তো সে বুঝে উঠতে পারেনা তার প্রাণের গুপ্ত সাথীটা কে? কখনো সে ভালোবাসার মানুষের মাঝে তার অন্তরের স্পৃহাকে চরিতার্থ করতে আঁকড়ে পড়ে থাকে, কিন্তু যখন বিচ্যুত হয় সাধারণ মানুষের পক্ষে সহ্য করা খুব দুরূহ ব্যাপার।
পক্ষান্তরে বলতেই হয় মানুষের মনে এমন প্রশ্ন আসতেই পারে কিন্তু তার কোন নিশ্চয় সমাধান নেই। নিজের আত্ম উপলব্ধির মাধ্যমেই কেবল তার সমাধান করতে হয়। যথার্থ উপলব্ধির জন্য বাস্তবিক সাধনার সাথে সাথে আধ্যাত্বিক চিন্তন এর প্রয়োজন হয়।
এ দুটোর সসমন্নয় হওয়া ব্যতীত আমার মনে হয় এর সমাধান পাওয়া অসম্ভব। তাই সমন্বয় সৃষ্টি মানুষের জীবনের মূল বিষয় হওয়া উচিত।
পিকলু চন্দ।
১৭.০৬.২০২০
Visit tripurawebsolution.com to read all of my poeoms and blogs.