অভিনন্দন অভিনন্দনে ভালো লাগে
খেয়ালী প্রানের আলোর পরশ জাগে।
অন্তঃপুরে বাসনা , উঠল দোলা দিয়ে
চিত্ত চপল স্বপ্ন সকল রয় চেয়ে।
নিদ্রা স্বপন যখন-তখন পরশে,
মেতে ওঠে মন নিত্য যতন হরষে।
প্রেয়সী আমার দীপ্ত কায়া, মুগ্ধ রথি
প্রাণ যে আমার মরণ খেলার সাথী।
ঝরা পাতার নৌকা খানি সাজিয়ে (তুমি) এলে
সূর্যমুখীর ভেলায় চড়ে (রাঙিয়ে) দিয়ে গেলে।
আলো শেষে নিশির বেশে রইলে পড়ে,
গোপন মনের কইতে কথা (ঘোর) নিবিড়ে।
নয়ন আমার এমনি ভাসে শিহরি
রই-রই থই-থই যাতনা সে আসে বিসরী।
তোমার খেলায় ভুবন ভুলায় জানি
কথায় তোমার ছড়ায় প্রেমের বাণী।
তোমার বিহন জীবন আমার শূন্য
পরশে তোমার প্রেম যে আমার ধন্য।
অভিনন্দন অভিনন্দনে  ভালো লাগে
খেয়ালি প্রাণের আলোর পরশ মাগে।

পিকলু চন্দ
০৫.০৭.২০২০

“আপনাকে এই জানা আমার ফুরাবে না
সেই জানার ই সঙ্গে সঙ্গে তোমায় চেনা”

কবি সুমিত্র দত্ত রায়ের, রবি ঠাকুরের উদ্ধৃতিতে, মনের মাঝে যে ভাবের সৃষ্টি হল, পাঠকের প্রতি ভালোবাসায় লিখা, তারই ছোট্ট প্রকাশ, দাদাকে প্রেরণার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ)

Abhinondoney Bhalo Lage | অভিনন্দনে ভালো লাগে

প্রত্যেক ভালো কাজের জন্য প্রশংসাযোগ্য কিছু একটা অভ্যর্থনা পাওয়া খুব প্রয়োজন। একটুখানি প্রশংসা মানুষের মনে অনেক আশা উদ্দীপনার সঞ্চার করে। মানুষ ছোট্ট আশা উদ্দীপনার উপর ভর করে অসম্ভবকে সম্ভব করার সাধনায় রত হয়। এটা খুব সত্য ঘটনা একে অস্বীকার করা কিংবা খাটো করে দেখা কখনোই ঠিক হয়না। প্রশংসা সবসময়ই মানুষের প্রাপ্য হওয়া উচিত।

Abhinondoney Bhalo Lage – অভিনন্দনে ভালো লাগে

ছোট্ট একটা অভিনন্দন কিংবা সংবর্ধনা মানুষকে উৎসাহ আর অনুপ্রাণিত করে এই সত্যটাই কবিতার মাঝে বারবার ধরা পড়েছে। অভিনন্দন মানুষের কাছে প্রিয়সির মত প্রিয় প্রিয়সি যেমন মুখ ফিরিয়ে নিলে মানুষের মনে ব্যথা হয় ঠিক তেমনি কোন কাজের অভিনন্দন কিংবা প্রশংসা না পেলে ও খুব ব্যথা লাগে। সেক্সপিয়ার কখনো একবার বলেছিলেন “এক্সপেক্টেশন ইজ দ্যা রুট অফ অল হার্ট এইক”
তাই কখনো কখনো চাহিদা মতো মানুষ যদি অভিনন্দন না প্রায় তাহলে ভেঙ্গে পড়াটা খুব স্বাভাবিক। কিছু বিরল মানুষ আছে যারা অসম্ভবকে সম্ভব করে এগিয়ে যায়। কিন্তু অজস্র মানুষ এমনও আছে যারা কখনও এর গণ্ডি অতিক্রম করতে পারে না আর অসফলতার গ্লানিতে শেষ হয়ে যায় চিরতরে।

Abhinondoney Bhalo Lage | অভিনন্দনে ভালো লাগে