বিতর্ক-সমস্যা ও সমাধান

বিতর্ক-সমস্যা ও সমাধান

জীবনের আরও একটা দিক বিতর্ক। মাঝে মাঝে এই সমস্যার সম্মুখীন আমরা হই। এর থেকে মুক্তি পাওয়া খুবই দুষ্কর। আদৌ কি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব না অসম্ভব। বিতর্ক-সমস্যা ও সমাধান এ নিয়েই থাকবে আজকের উপস্থাপনা।

সত্যিই জীবনে কোনো কোনো সময় আমরা খুব এক বিতর্কিত সমস্যার সম্মুখীন হই, খুব কঠিন সময়ে বলা যেতে পারে। এর জন্য কিন্তু সব সময় নিজেকে বা প্রতিপক্ষকে দোষী করা ঠিক হবে না তার জন্য কিছুটা পরিস্থিতিও নির্ভর করে। যেমন এক হাতে তালি বাজে না, শীতের মৌসুমে ঠান্ডার কাপড় না নিয়ে বেরিয়ে পড়া। যুক্তি বিতর্ক অনেক হতে পারে আবার চাইলে তান্ডব ও হতে পারে। শেষ সমাধান টা কিন্তু যেখান থেকে শুরু হয় সেখানে গিয়েই শেষ হয়?
বিতর্ক হয় পর্যালোচনা হয় , করা উচিত ছিল, করা উচিত ছিল না ইত্যাদি ইত্যাদি।

উদাহরণ

তার জন্য আমরা প্রকৃতি থেকে কিছু শিক্ষা নিতে পারি। প্রকৃতির প্রতিটা প্রাণী, প্রকৃতির প্রতিটা জীব, প্রতিটা সৃষ্টি যেমন যেমন পরিস্থিতির সামনে মানিয়ে নেয়। ঠিক তেমনি করে আমাদের কোনো পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেওয়ার অভ্যাস শিখতে হয় । যে যত বেশী অভ্যাস টাকে রপ্ত করবে ততটুকু জীবন সুগম হবে।

আপনারা একটা জিনিস লক্ষ্য নিশ্চয়ই করেছেন মানুষ যখন অতিরিক্ত কোন কিছুতে উৎসাহী হয় তখন কিন্তু হীত বই বিপরীত বেশি হয়। প্রয়োজনের খাতিরে উৎসাহী হওয়া উচিত। যেমন ধরুন একটা জিনিস আপনারা খুব লক্ষ্য করেছেন, আমি মানুষের সাথে তুলনা করছি না বিতর্ক সৃষ্টি যেন না হয়। যখন প্রকৃতির প্রভাবে একটা সময় আপনার ঘরের গৃহপালিত পশু কুকুর খুব উশৃঙ্কল হয়ে পড়ে, আর পাগলের মতো বেরিয়ে পড়ে। কখনো কখনো খুব ভাল ফল পায় আর কখনো কখনো নিজের মৃত্যুকে ডেকে আনে। কিন্তু তাদের প্রতিবাদ করার শৈলী আমাদের জন্য নিশ্চয়ই শিক্ষনীয়। যখন তারা নিজের গ্রুপ বানিয়ে থাকে তখন জয় হয়। অর্থাৎ যখন মিলেমিশে থাকে আবার যখন জোর করে কোন কিছু কে মানিয়ে নিতে যায় তখন বিপদ হয়।

একটা কুকুরকে যখন চার পাঁচটা কুকুর ঘিরে ধরে ও কিন্তু চেষ্টা করে পালিয়ে যাওয়ার কিন্তু এত সকাল পালাতে পারে না তাই চুপ করে পরিস্থিতি অনুসারে ডিসিশান নেয়। কিন্তু তার ব্যাক্তি সত্তাকে পরিত্যাগ করে না। ওর ব্যাক্তি সত্তা হচ্ছে সাহস দেখানো পরিস্তিতি যত কঠিন হোক না কেন। ও সহজে স্বীকার করে না ও হেরে গেছে নিজের লড়াই চালিয়ে যায়। মানুষের মাঝে এ গুন্ থাকা চাই পরিস্তিতি অনুসারে কম্প্রোমাইসে করা আবার সময় আসলে নিজেকে নতুন করে প্রস্তুত করা। সত্তা যেন হারিয়ে না যায় এটাই মূল বিষয়।

সমধান

যখন মানুষ একা থাকে তখন মানুষ স্বাধীন থাকে কিন্তু যখন অন্য কারো সাথে যোগ হয় তখন নিজের অস্তিত্বকে ত্যাগ করে মানিয়ে নিতে হয়। বুদ্ধিমানের কাজ এটাই যখন কোন পরিস্থিতিতে মানুষ খুব বাজেভাবে জড়িয়ে পড়ে তখন নিজেকে সংযত করা। যদি সম্ভব হয় তখন পরিস্থিতি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেওয়া, নিজেকে বিশ্রাম দেওয়া। ভালো মন্দ বিচার করে যদি যদি জরুরি হয় তবে বিষয়টাকে অন্য ভাবে প্রস্তুত করা। আর যদি জরুরি না হয় চিরকালের জন্য বিষয়টাকে বিদায় দেওয়া।

বিতর্ক-সমস্যা ও সমাধান

My life my story-Piklu Chanda