আমার পথ আড়াল করে রাখে –
ছোট্ট একটা ছায়া অবলীলায় চলে আসছে পাশে,
আমি গামছা বেঁধে রেখেছি-
দড়ি বাঁধার জো নেই!
নিস্তব্ধ,নিশ্চুপ কেমন বিচ্ছিরি গন্ধ-
দম বন্ধ হয়ে আসে,
ছায়া, ক্রমশ বিলীন!
আমার অস্তিত্বের গহীন রন্ধ্রে রন্ধ্রে
যেন গ্রহণ লেগে আছে!
নিরবতার চাদরে কেমন জীবন তরঙ্গ আচ্ছাদিত!
মাঝে মাঝে অবকাশ নিতে ইচ্ছে হয়।
শরতের হিমেল পরশ অনুভূত হয়,
শরতের আলিঙ্গনে বর্ষা স্তিমিত প্রায়-
শিশির বিন্দু সূর্যকিরণে হীরে হতে প্রস্তুত!
পুজো শেষে পুরুত মশাই হঠাৎ অদৃশ্য-
আমি চরনামিতের প্রত্যাশায় অধীর!
স্বয়ং ঠাকুর এসেই প্রসাদ দেবেন,
কিন্তু আশ্চর্য কারো সাড়া নেই!
বোধহয় একটু তাড়া করে ফেলেছি,
আঁধারের ভয় আজ আর নেই-
প্রতীক্ষায় রইলাম যদি কেউ আসে!!
পিকলু চন্দ
জিরানিয়া, ত্রিপুরা
২০ আশ্বিন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রতীক্ষা | Protiksha Bengali Poem
মানুষের জীবনের সংগ্রামের মুহূর্তটা খুব কঠিন। অনেক চেষ্টা করেও মানুষ সংগ্রামের মুহূর্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না, সেই সংগ্রাম পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য হোক কিবা নিজের অস্তিত্ব বিস্তারের জন্য হোক। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি আমাদের বাধ্য করে আমরা চোখ বুজে অনেক কিছু সহ্য করতে পারিনা। প্রতিবাদ কখনো সুফল নিয়ে আসে আর কখনো প্রতিবাদ প্রশ্ন হয়ে নিজের কাছেই ফিরে আসে। তখন শুরু হয় সংগ্রাম।
Comments
There are 16 comments made on this post so far.
অপূর্ব নিবেদন
ভালো লাগল মন
প্রিয় কবিকে আমার শুভেচ্ছা নিবেদন|
কবি খুবই সুন্দর লিখেছেন পাঠে মুগ্ধতা রাখিলাম ধন্যবাদ।